Aloo Bukhara Fruit- আলু বোখারা ফল
আলু বোখারার বৈজ্ঞানিক নাম -Prunus domestica এবং এটি Rosaceae পরিবারের সপুষ্পক ফলজ উদ্ভিদের একটি প্রজাতি।এটি একটি বৃহৎ গুল্ম বা ছোট গাছ। এটি কাটাযুক্ত গাছ, ফুল সাদা হয়, বসন্তকাল ফোটে। ফল এর দেখতে ডিম্বাকৃতি বা গোলাকৃতি হয়। মশলা জাতীয় ফল হিসেবেই এটি বিবেচিত।
আলু বোখারা ভারতের কাশ্মীর, হিমালয়, পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং ইরানে প্রচুর
পরিমাণে চাষ হয়। বর্তমানে বাংলাদেশে বাণিজ্যিক
ভাবে এর চাষ শুরু হয়েছে যা বেশ লাভজনক।
আলু বোখারার পুষ্টিগুণঃ
প্রতি ১০০ গ্রাম খাবার উপযোগী আলুবোখারায়
থাকেঃ
খাদ্যশক্তি ৪৬ কিলোক্যালরি,
কার্বোহাইড্রেটস ১১.৪২ গ্রাম,
প্রোটিন ০.৭০ গ্রাম,
ফ্যাট ০.২৮ গ্রাম,
খাদ্যআঁশ ১.৪০ গ্রাম,
ফোলেট ৫ মাইক্রোগ্রাম,
নিয়াসিন ০.৪১৭ মিলিগ্রাম,
প্যানথোনিক অ্যাসিড ০.১৩৫ মিলিগ্রাম,
ভিটামিন এ ৩৪৫ আইইউ,
ভিটামিন সি ৯.৫ মিলিগ্রাম,
ভিটামিন ই ০.২৬ মিলিগ্রাম,
ভিটামিন কে ৬.৪ মাইক্রোগ্রাম,
সোডিয়াম ১ মিলিগ্রাম,
পটাসিয়াম ১৫৭ মিলিগ্রাম,
ক্যাসসিয়াম ৬ মিলিগ্রাম,
কপার ০.০৫৭ মিলিগ্রাম,
লৌহ ০.১৭ মিলিগ্রাম,
ম্যাগনেসিয়াম ৭ মিলিগ্রাম,
ফসফরাস ১৬ মিলিগ্রাম,
জিংক ০.১০ মিলিগ্রাম।
উপকারী এইসব উপাদান নিঃসন্দেহে আমাদের
স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী ভূমিকা রাখতে সক্ষম।
আসুন আলুবোখারার উপকারিতা কি কি জেনে নেইঃ
১। ওজন
হ্রাসেঃ আলুবোখারা ফলে ক্যালোরির পরিমান খুবই সামান্য তাই তা আপনার ওজন হ্রাসের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
২। চোখের রোগেঃ চোখের বিভিন্ন রোগ
দমনে কাজ করে।
৩। পেটের রোগেঃ আপনার হজম বাড়িয়ে খাবারের রুচি বৃদ্ধি করে এবং
পেটের রোগ দমনেও সাহায্য করে।
৪। কোষ্ঠকাঠিন্যঃ আলুবোখারাতে প্রচুর আঁশ থাকায়
কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে রেহাই দেয়।
৫। রক্ত শূন্যতায়ঃ রক্তশূন্যতা দূর করে।
যাদের প্রয়োজনের তুলনায় রক্ত উৎপাদন কম হয় বা যেকোনো কারণে রক্তশূন্যতা হলে তা
পূরনে কাজ করে।
৬। রক্ত রোগেঃ রক্তের যেকোনো রোগ
দমনে সহায়তা করে। উচ্চরক্তচাপ রোধ, স্ট্রোক থেকে রক্ষা করা
এবং রক্তের সরল গতি নিশ্চিত করে।
৭। কোলেস্টেরলেঃ দেহের ক্ষতিকারক
কোলেস্টেরল তাড়িয়ে আপনাকে সুস্থ রাখে।
৮। এন্টিএইজিং হিসাবেঃ বয়সের ছাপ,চামড়া
কুচকে যাওয়া রোধ করে আপনাকে সুন্দর সতেজ রাখতে আলুবোখারার কোনো তুলনা হয় না।
৯। ত্বক ও চুলেঃ ত্বকের
উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির সাথে সাথে ত্বক মসৃণ করে তুলতে
এবং চুলের যত্নে আলুবোখারা সেরা।
১০। ক্যান্সারেঃ স্তন ক্যান্সার সহ
যেকোনো ক্যান্সারের জীবাণুর বৃদ্ধি ঠেকাতে সক্ষম আলুবোখারা।
১১। হাড়ের যত্নেঃ হাড়ের গঠন,
সুস্থতা এবং বিশেষভাবে মেনোপোজে যাওয়া নারীদের হাড়ের যত্ন নিশ্চিত করতে
এবং হাড়ের ভঙ্গুরতা কাটিয়ে মজবুত কাঠামো গঠনে সহায়তা করে।
১২। রোগ প্রতিরোধঃ আপনার রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে তুলতে এবং রোগে আক্রান্ত হওয়া থেকেও বাঁচাতে পারে।
১৩। স্মৃতিশক্তিঃ বৃদ্ধি করে পড়া
দ্রুত মুখস্থ হওয়ার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
আলুবোখারা কি ভাবে খাবেনঃ একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ এই শুকনা ফল থেকে সর্বোচ্চ উপাকার পেতে দিনে খুব বেশি হলে তিন থেকে চারটি মাঝারি আকারের আলুবোখারা খেতে পারবেন।