অশ্বগন্ধা কি?
অশ্বগন্ধাতে কি কি খাদ্যপুষ্টি রয়েছে?
অশ্বগন্ধা উপকারিতা কি ?
অশ্বগন্ধা কিভাবে খাবেন?
অশ্বগন্ধা কোথায় পাবেন?
আরো জানুনঃ মরিংগা বা সজনে কেনো খাবেন
#অশ্বগন্ধা কি?
#অশ্বগন্ধা একটি ভেষজ উদ্ভিদ।এই গাছের পাতা সেদ্ধ করলে ঘোড়ার মূত্রের মতো গন্ধ বেরোয় বলে একে অশ্বগন্ধা বলা হয়ে থাকে। এই পাতার বৈজ্ঞানিক নাম ‘উইথানিয়া সোমনিফেরা (এল) ডুনাল’। আয়ুর্বেদে একে বলা হয় বলদা ও বাজিকরি। #অশ্বগন্ধার মূল, পাতা, ফুল, ফল, ছাল, ডাল সবই ওষুধ হিসাবে ব্যবহার করা হয়। ৩৫–৭৫ সেমি (১৪–৩০ ইঞ্চি) ক্রমবর্ধমান হয়ে গাছটি সাধারণত দুই-আড়াই হাত উঁচু হয় এবং শাখাবহুল থাকে।
(Wikipedia)
অশ্বগন্ধাতে কি কি খাদ্যপুষ্টি রয়েছে দেখুন-
পুষ্টির মান অশ্বগন্ধা রুট পাউডার
প্রোটিন(গ্রাম) ৩.৯
চর্বি (গ্রাম) ০.৩
ফাইবার (গ্রাম) ৩২.৩
শক্তি (কিলোক্যালোরি) ২৪৫
কার্বোহাইড্রেট (গ্রাম) ৪৯.৯
আয়রন (মিলিগ্রাম) ৩.৩
ক্যালসিয়াম (মিলিগ্রাম) ২৩
ক্যারোটিন (μg) ৭৫.৭
ভিটামিন সি (মিলিগ্রাম) ৩.৭
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ৭৬.১৬
(Ref: International Journal of Home Science2016; 2(3): 68-70)
#অশ্বগন্ধা'র উপকারিতা কি ?
আপনি নিজে কি কখনো #অশ্বগন্ধা #জ্যাম, #ট্যাবলেট, #ক্যাপস্যুল,#পাউডার বা #মাদার_টিংচার সেবন করছেন ? যদি করে থাকেন তবে-
২/ কোন কোম্পানির এবং কোন টাইপের #অশ্বগন্ধা সেবন করছেন?
৩/ কতদিন ধরে সেবন করছেন?
৪/ কি উপকার পেয়েছেন বা পাচ্ছেন ?
প্রতিটি #মেডিসিন, #ফুড_সাপ্লিমেন্ট এর ব্যবহারের পর যদি আপনি আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন তাহলে সবার অনেক উপকার হয় এবং কোন কোম্পানীর গুলো ভালো তা ও জানা যায়।
*******#অশ্বগন্ধা এমনই একটি #ন্যাচারাল_মেডিসিন যাহা #হোমিওপ্যাথিক, #আয়ুর্বেদিক ,#হারবাল কোম্পানিরা বিভিন্ন পদ্ধতিতে মেডিসিন আকারে বা ফুড সাপ্লিমেন্ট হিসাবে তৈরি করে থাকে।*******
.jpg)
এটিকে আয়ুর্বেদে “রসায়ণ” বা টনিক নামে পরিচিত করানো হয়েছে। অনেকেই শুনেছেন-অশ্বগন্ধাদ্যরিষ্ট (সিরাপ ফর্ম) এর নাম। #অশ্বগন্ধায় অ্যালকালয়েড রয়েছে যা প্রাকৃতিক ভাবে শক্তি বাড়ায় যাহা শরীরের শক্তি ও পেশী বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। আপনি যখন ব্যায়াম করেন তখন আপনার শক্তি এবং অক্সিজেন এর ব্যবহার বাড়িয়ে শারীরিক কর্মক্ষমতা কে উন্নত করতে পারে।
রক্তে #টেস্টোস্টেরনের মাত্রা উল্লেখযোগ্য ভাবে বাড়াতে পারে। টেস্টোস্টেরনকে বলা হয় #সেক্স_হরমোন। এটি পুরুষের লিঙ্গ দৃঢ় করে এবং যৌন আকাঙ্ক্ষা বৃদ্ধি করে। পুরুষদের বয়স বাড়তে থাকলে তাদের দেহে টেস্টোস্টেরনের উৎপাদন উল্লেখযোগ্য ভাবে হ্রাস পায়। এছাড়াও বিভিন্ন কারণে রক্তে টেস্টোস্টেরন উৎপাদন কমে যেতে পারে। অশ্বগন্ধা লুটেইনিজিং #হরমোন এবং #টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বৃদ্ধি করে । এটি কামোদ্দীপক হিসেবে ব্যবহৃত হয়, পুরুষরা যখন #অশ্বগন্ধা সেবন করেন তখন তাদের শরীরে নাইট্রিক অক্সাইডের সংশ্লেষণ বেড়ে যায়। যৌনাঙ্গে রক্ত বহনকারী রক্তনালী গুলি প্রসারিত হয় এতে #ইরেক্টাইল_ডিসফাংশনে অনেক উপকার করে। মানসিক চাপ কমায় #লিবিডো কর্মক্ষমতা উন্নত করে এবং অকাল বীর্যপাত মোকাবেলা করতে সাহায্য করে তাই পুংলিঙ্গের শক্ত হবার সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।
#অশ্বগন্ধা সেবন করলে আপনার মানসিক প্রফুল্লতা নিয়ে আসে। আপনার মস্তিষ্ক সতেজ ও সচল হয়ে যায়, মস্তিস্ককে যথেষ্ট শিথিলতা প্রদান করে এবং নিজেকে অনেক রোমান্টিক মনে হবে। মানসিক চাপ থেকে মুক্তি দেয় বলে যৌন মিলনে সময় বৃদ্ধি পায় এবং ইচ্ছা এবং আনন্দ বাড়ানোর জন্য যারা #অশ্বগন্ধার ফুড সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করেন তাদের ঘুমের মান অনেক ভালো থাকে। অ্যাডাপটোজেন একটি রাসায়নিক যা শরীরকে চাপ মোকাবেলায় সহায়তা করে।
#অশ্বগন্ধা একটি শক্তিশালী #অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে পরিচিত যা ফ্রি র্যাডিক্যালের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে তাই মানুষকে তাড়াতাড়ি বুড়িয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করে এবং দেহকে শক্তিশালী করার জন্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে হবে মানে জীবনীশক্তির ক্ষমতা বাড়াতে দারুন কাজ করে। এটি শুক্রাণুর সংখ্যা,গুণগত মান এবং গতিশীলতা বাড়িয়ে তোলেন। সুস্থ সবল #শুক্রাণু প্রতি সেকেন্ডে ২৫ মাইক্রোমিটার গতিতে সাঁতার কাটা উচিত যা #অশ্বগন্ধা সেবন করলে বৃদ্ধি পায় এবং সেই কারনে পুরুষ বন্ধ্যাত্বের জন্য অশ্বগন্ধাকে ব্যবহার করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। একদল পুরুষকে ৯০ দিনের জন্য #অশ্বগন্ধা ট্যাবলেট দেওয়া হয়েছিল, ফলাফলে দেখা গেছে যে পুরুষরা #অশ্বগন্ধা বড়ি গ্রহণ করেছেন তাদের শুক্রাণুর সংখ্যা ১৬৭% বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি নিয়মিত সেবনে যতোটুকু সময় ধরে স্ত্রীসহবাস করতে পারেন তার থেকে কয়েক গুন সময় অবশ্যই বাড়িয়ে দেবে।
এছাড়া
#আর্থাইটিস ও বিভিন্ন রকমের বাত রোগে ব্যথার তীব্রতা কমাতে #অশ্বগন্ধা সেবন করতে পারেন।
#অশ্বগন্ধা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রন করে।
#অশ্বগন্ধা হার্ট এর ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে।
#অশ্বগন্ধা ত্বকের সতেজতাকে ধরে রাখে।
#অশ্বগন্ধা অকালে চুলে পাক ধরা, চুল পড়ে যাওয়াকে রোধ করে।চুলের পুস্টি যোগায়।
#অশ্বগন্ধা মানবদেহে কিডনির উপরের অংশে অ্যাড্রিনালিন থাকে, সেখানে বিভিন্ন রকমের সমস্যা দেখা যায় তবে ডাঃ পরামর্শে খেতে পারেন।
#অশ্বগন্ধা মাসিকের সময় কোমরের ব্যথা এবং জরায়ু বা মাসিক সংক্রান্ত জটিলতায় খেতে পারেন।
#অশ্বগন্ধা যাদের ঘুম ভালো হয় না তারা খেতে পারেন।
অশ্বগন্ধা কিভাবে খাবেন?
#অশ্বগন্ধা_হোমিওপ্যাথি_মাদার_টিংচার- বেশি উপকার পাওয়া যায় মাদার টিংচার সেবনে।হোমিওপ্যাথি মাদার টিংচার ১৫ থেকে ২০ ফোঁটা করে দুই চামচ পানিতে মিলিয়ে দিনে তিনবার খাবেন, একমাস সেবন করে ১৫ দিন গ্যাপ দিয়ে আবার খাবেন।এতে যৌন সমস্যায় সমাধান পাওয়া যায়। এছাড়া মেটেরিয়া মেডিকা অনুসারে বিভিন্ন লক্ষন ভেদে প্রয়োগ করা যেতে পারে।
একটি উদাহরন দেই, যেমন- #অশ্বগন্ধা: শরীর ও মানসিক দুর্বলতা,কোন কাজে মন বসেনা, উদাসীন ভাব। বসা হইতে দাঁড়াইলে মাথা ঘুরে, দর্বলতার জন্য চোখে অন্ধকার দেখে। স্মৃতি শক্তির অভাব। কোন কথা মনে বাখতে পারে না। এই ধাতুর রমনীদের সাদা স্রাবের ইহা উৎকৃষ্ট ঔষধ।
ফুড সাপ্লিমেন্ট হিসাবে প্রতিদিন ৫-১০ ফোটা করে মাদার টিংচার একবার বা দুইবার খেতে পারেন।
পাউডার হলে- সকালে ও রাতে হাফ চা চামচ দুধ বা চা এর সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন। ক্যাপসুল হলে সকালে ও রাতে দুইটি করে খেতে পারেন। জ্যাম হলে সকালে ও রাতে দুইটি করে খেতে পারেন। বিভিন্ন রোগের মেডিসিন হিসাবে খেলে আপনার চিকিৎসক এর পরামর্শে সেবন করবেন।
অশ্বগন্ধা কোথায় পাবেন?
এখন অশ্বগন্ধা অনলাইন এ বা বিভিন্ন মেডিসিনের দোকানে পাউডার বিক্রি হয়। জ্যাম ও ক্যাপসুল বিভিন্ন বড় বড় মেডিসিন এর দোকানে কিনতে পাওয়া যায়। টনিক হিসাবে আয়ূরভেদ বা হারবাল মেডিসিন এর দোকানে পাওয়া যায়।
অশ্বগন্ধা সেবন কালে যদি কোন অসুবিধা অনুভব করেন ,গর্ভাবস্থা, বুকের দুধ খাওয়ানো, সাম্প্রতিক অস্ত্রোপচার বা আসন্ন অস্ত্রোপচার হলে, থাইরয়েড এর কোন সমস্যা থাকলে আপনার চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করুন।
(পূর্বে প্রকাশিতঃ Facebook)
আপনার কোন কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করুন।
আখতার উজ জামান, ডিএইএমএস
মোবাইল- ০১৯৮৯৯৮৩৬৮০