হলুদে প্রধান কার্যকর উপাদান হল #কারকুমিন। #কারকুমিন
একটি প্রাকৃতিক রাসায়নিক যৌগ যা প্রধানত হলুদের মধ্যে পাওয়া যায়। এটি হলুদকে
তার উজ্জ্বল হলুদ রং এবং সুনির্দিষ্ট স্বাদ প্রদান করে।অনেকেই বলে থাকেন আমি তো হলুদ খাই কিন্তু কোন উপকার পাচ্ছি না।এর প্রধান কারন কি
জানেন? ইন্টারনেটে অনেক তথ্যই আমরা পাই যা আসলে কপি পেস্ট করা তথ্য কিন্তু
আমরা সাধারন মানুষ তার সঠিক হিসাব বা কারন বুঝতে পারিনা।
সাধারণত,০১ কেজি/ ১০০০ গ্রাম/ ১০,০০,০০০ (দশ লাখ) মিলিগ্রাম
হলুদে আনুমানিক ০৩-০৫ গ্রাম কারকুমিন(মানে ৩০,০০০-৫০,০০০ মিলিগ্রাম)পাওয়া যেতে পারে,আবার সেটাও নিরভর করে হলুদের বিভিন্ন
জাত, মাটি ও আবহাওয়ার উপর।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে, একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের জন্য প্রতিদিন প্রায় ৫০০-২০০০ মিলিগ্রাম কারকুমিন গ্রহণ করা উত্তম। তবে, ডোজের পরিমাণ নির্ভর করে ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যের অবস্থা এবং শারীরিক চাহিদা বা কি কারণে গ্রহন করছেন তার উপর।
আরো পড়ুনঃ- কাঁচা হলুদে কারকিউমিন: অপূর্ব স্বাস্থ্য বর্ধক গুণ
এবার হিসাব করে দেখুন গড়ে সাপ্লিমেন্ট হিসাবে যদি ৫০০ এমজি এর দুইটি কারকুমিন ক্যাপসুল বা ট্যাবলেট গ্রহন করতে চাই তাতে ১০০০এমজি #কারকিউমিন গ্রহন করবেন। ১০০০এমজি #কারকিউমিন এর জন্য আপনাকে গ্রহন করতে হবে প্রায় ২৫ গ্রাম কাঁচা হলুদের গুড়া (একটি চা চামচ সাধারণত প্রায় ৫ গ্রাম গুঁড়া মাপতে পারে) যা খাওয়া অসম্ভব একজন মানুষের জন্য। আবার সেটা যদি কোন রোগের কারণে মেডিসিন হিসাবে গ্রহন করতে হয় তাহলে পরিমান আর বেড়ে যেতে পারে।
হলুদ থেকে #কারকুমিন আলাদা করার জন্য কিছু সাধারণ প্রক্রিয়া ব্যবহৃত হয়। এটির একটি পরিচিত প্রক্রিয়া হল এক্সট্রাকশন প্রক্রিয়া।যেটি একটি জটিল প্রক্রিয়া। বাসায় সেটা করা সম্ভব নয়। তাই আপনাকে বাজার থেকে কারকুমিন ক্যাপসুল বা ট্যাবলেট কিনেই খেতে হবে বা ব্যবহার করতে হবে।