Header Ads Widget

Responsive Advertisement

প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় সঠিক পুষ্টি উপাদান যুক্ত করার সহজ উপায়

 আমরা যদি প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় সঠিকভাবে সকল পুষ্টি উপাদান যুক্ত খাবার অন্তর্ভুক্ত করি তাহলে তাতে  শরীরের সকল চাহিদা পূরণ হতে পারে। 

এখানে একটি উদাহরণ দেওয়া হলো:


ভোর এ ঘুম থেকে উঠেই যদি কুসুম গরম  ২৫০-৫০০ মিলিলিটার (প্রায় ১-২ গ্লাস) পানি খাইয়ে নিতে পারেন তাতে আপনার : শরীর থেকে টক্সিন বের করতে ( ডিটক্সিফিকেশন) সাহায্য করে। (মেটাবলিজম রেট বৃদ্ধি করে) ওজন কমাতে সহায়তা করে।হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। ত্বকের উজ্জ্বলতা কে বাড়াতে সাহায্য করে।




সকালের নাস্তা: নাস্তার পরিমাণ নির্ভর করে আপনার বয়স, লিঙ্গ, শারীরিক কার্যকলাপের মাত্রা এবং ব্যক্তিগত পুষ্টি চাহিদার উপর। তবে, সাধারণত একটি পরিপূর্ণ ও পুষ্টিকর নাস্তা খাওয়া উচিত যা আপনার সারাদিনের কাজের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি সরবরাহ করবে।




প্রোটিন:

ডিম, দই বা দুধ (২টি ডিম বা ১ কাপ দই)

শস্য:

ওটস, সম্পূর্ণ গমের রুটি বা ব্রাউন রাইস (১ কাপ ওটস বা ২ টি সম্পূর্ণ গমের রুটি)

ফল:

আপেল, কলা বা বেরি (১টি আপেল বা ১টি কলা)

চর্বি:

বাদাম বা চিয়া বীজ ( ১ মুঠো বাদাম বা ১ টেবিল চামচ চিয়া বীজ)


হালকা স্ন্যাকস:  যদি আপনার সকালের নাস্তা খুব তাড়াতাড়ি হয়ে থাকে তবে ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে একটি হালকা স্ন্যাকস খাওয়া ভালো এতে আপনার পাকস্থলী অধিক সময় খালি থাকলো না যাদের গ্যাসের সমস্যা আছে তারা কোন অসুবিধা হলো না।, বিশেষ করে এটি আপনাকে দুপুরের খাবার পর্যন্ত শক্তি যোগাতে সাহায্য করবে এবং আপনার রক্তে শর্করার স্তর স্থিতিশীল রাখতে সহায়তা করবে। তাহলে কি খেলে আপনার জন্য অধিক উপকার হতে পারে?

কিছু স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকসের উদাহরণ:

ফল:

আপেল:

ফাইবার ও ভিটামিন সি সমৃদ্ধ।


কলা: 

পটাসিয়াম ও কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ, যা দ্রুত শক্তি যোগায়।


বেরি: 

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

প্রোটিন:

বাদাম:

প্রোটিন ও স্বাস্থ্যকর চর্বি সমৃদ্ধ, যা দীর্ঘ সময়ের জন্য পেট ভরা রাখে।


চিয়া বীজ 

ফাইবার ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ।


দই 

প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ, যা হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে।

শস্যঃ

সম্পূর্ণ গমের ক্র্যাকার:

ফাইবার ও কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ, যা শক্তি যোগায়।


গ্রানোলা বার:

(ওটস, বাদাম, মধু, এবং শুকনো ফলের মিশ্রণে তৈরি) প্রোটিন, ফাইবার ও কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ, যা দ্রুত শক্তি যোগায়

চর্বি: 

বাদাম: 

স্বাস্থ্যকর চর্বি ও প্রোটিন সমৃদ্ধ।


বাদামের মাখন: 

প্রোটিন ও স্বাস্থ্যকর চর্বি সমৃদ্ধ, যা পেট ভরা রাখে।


দুপুরের খাবার:


প্রোটিন

গরু/মুরগি, মাছ বা ডাল

শস্য:

লাল চালের ভাত বা কুইনোয়া ( কাউন চাল )

সবজি:

পালং শাক, ব্রকলি, গাজর

চর্বি:

অলিভ অয়েল বা অ্যাভোকাডো


বিকেলের স্ন্যাকস:


ফল:

কমলা, আপেল বা বেরি

প্রোটিন:

বাদাম, চিয়া বীজ বা দই

রাতের খাবার:



প্রোটিন:

গরু/মাছ, মুরগি বা ডাল

শস্য:

সম্পূর্ণ গমের রুটি বা লাল চালের ভাত

সবজি:

ব্রকলি, বেল পেপার, টমেটো

চর্বি

অলিভ অয়েল বা বাদামের তেল


অতিরিক্ত টিপস:

  • পানি পান: প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করুন।একবারে না খেয়ে বার বার অল্প অল্প করে খাওয়ার অভ্যাস করুন।

  • ভিটামিন ডি: সূর্যালোক থেকে ভিটামিন ডি গ্রহণ করুন বা সাপ্লিমেন্ট গ্রহন করুন।

  • বিভিন্নতা: প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। এতে একগুঁয়েমি মনে হবে না এবং এক এক খাবারে থাকা আরো বহু মিনারেলস ও দেহে প্রবেশ করবে।

এই তালিকা আপনার শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানগুলি সরবরাহ করতে সহায়তা করবে। তারপর ও যদি মনে হয় ঠিক বুঝতে পারছেন না তাহলে একজন পুস্টিবিদ এর সাহায্য নিয়ে টগিক করে নেওয়াই উত্তম হবে।


মোঃ আখতার উজ জামান  ডিএইস এম এস

মোবাইলঃ- ০১৯৮৯৯৮৩৬৮০


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ