তামাক দিয়ে ধূমপান বা ই-সিগারেট দিয়ে ভ্যাপিং
প্রচলিত তামাক
সিগারেটের বিকল্প হিসাবে কিশোর এবং তরুণ ও প্রাপ্তবয়স্কদের কাছে স্বাস্থ্যকর ই-সিগারেট
বিপণন করা হচ্ছে।ই-সিগারেটে
নিকোটিনের দ্রবণ থাকে, যা ব্যাটারির মাধ্যমে গরম হয় এবং ধোঁয়া তৈরি করে।এর ফলে মস্তিষ্কে ধূমপানের
মতো অনুভূতি সৃষ্টি করে। ই-সিগারেটে ক্যান্সার উৎপাদনকারী রাসায়নিক,
ফরমাল ডিহাইড এবং এসিটেল ডিহাইডের
অস্তিত্ব থাকে।
এফএএসইবি
জার্নালের এপ্রিল সংখ্যায় প্রকাশিত মিশিগান টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটির গবেষক জোশুয়া
গঞ্জালেজ এমএস, ২০ বছর বয়সী একদল স্বাস্থ্যবান অধূমপায়ীদের দ্বারা ই-সিগারেটের ওপর একটি
গবেষণা চালায়। নতুন গবেষণায় ই-সিগারেটের ভেপিং এর পরে তরুণদের মধ্যে হৃদস্পন্দন
এবং রক্তচাপ বৃদ্ধি পায়। যদিও তামাক ধূমপান এর প্রভাবগুলি ভালভাবে নথিভুক্ত করা
হয়েছে কিন্তু ই-সিগারেট বা ভেপার নিয়ে গবেষণা সীমাবদ্ধ রয়েছে। প্রতিটি
স্বেচ্ছাসেবক দুটি ভ্যাপিং সেশনে অংশ নিয়ে, এক মাসের ব্যবধানে নিকোটিনযুক্ত সিগারেট ও
ই-সিগারেট ব্যবহার করেছিল।দেখা গেছে স্বেচ্ছাসেবীরা ই-সিগারেট ব্যবহার করলে তাদের রক্তচাপ
এবং হার্টরেট উভয়ই বেড়ে যায়। ভেপারিং বন্ধ করে দিলে রক্তচাপ বেশি থাকে
কিন্তু হৃদস্পন্দন হার স্বাভাবিক পরিসরে ফিরে আসে।আর সেই কারনে গবেষণার উপসংহারে
বলা হয়েছে যে অধূমপায়ীরা যারা ই-সিগারেট ব্যবহার করেন তারা তীব্র এবং দীর্ঘস্থায়ী
উচ্চ রক্তচাপের জন্য নিজেকে আরও বেশি ঝুঁকিতে ফেলতে পারেন।
[ কাঁচা হলুদ কেন খাবেন কি ভাবে খাবেন ? এখানে ক্লিক করুন ]
সাধারণ সিগারেটের চেয়ে ই-সিগারেট স্বাস্থ্যের জন্য দশ গুণ বেশি ক্ষতিকারক হতে পারে। তাই সিগারেট ছাড়ার খোঁড়া যুক্তি হিসেবে ই-সিগারেট ধরা মানে আপনি আরো বেশি ঝুকি নিয়ে নিলেন।মোঃ আখতার উজ জামান ডিএইস এম এস মোবাইলঃ- ০১৯৮৯৯৮৩৬৮০