পিংক সল্ট বা গোলাপী লবণ এর বেশির ভাগ পাকিস্থানে, ভারত থেকে চীণের যে প্রসারিত পর্বত শ্রেণী রয়েছে তার মধ্যে পাওয়া যায়।। এর মধ্যে বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বত “হিমালায় পর্বত” ও অন্তভুক্ত আছে। হিমালয় পর্বত শ্রেণী থেকে এই লবণের দেখা পাওয়া যায় বলে একে "হিমালয়ান সল্ট" বলা হয়। এই লবণটি গোলাপী রং-এর হয়ে থাকে। এতে গোলাপী,সাদা এবং লাল রং এর খনিজ উপাদান আয়রন অক্সাইড বিদ্যমান থাকায় এর রং গোলাপী দেখায় এবং সেখানে এটি “হোয়াইট গোল্ড” নামে সুপরিচিত। হিমালয়ান সল্ট পৃথিবীতে পাওয়া সবচেয়ে বিশুদ্ধ লবণ যাতে কোন প্রকার বিষাক্ত ও দূষিত পদার্থ নেই। এ কারণে এ লবণকে “পিংক সল্ট” ও বলা হয়।
কি ভাবে পিনফক সল্ট আহরন ও প্রসেস করা হয় -
উপাদান |
সী সল্ট (%) |
হিমালীয়ান সল্ট (%) |
সোডিয়াম ক্লোরাইড |
৯৮-৯৯% |
৯৬-৯৮% |
ম্যাগনেশিয়াম |
০.০১-০.৫% |
০.০১-০.৫% |
ক্যালসিয়াম |
০.০১-০.৫% |
০.০১-০.৫% |
পটাশিয়াম |
০.০১-০.৫% |
০.০১-০.৫% |
আয়রন |
নেই |
০.০০৪% |
ক্যালসিয়াম (Ca) |
নেই |
আছে |
ম্যাগনেশিয়াম (Mg) |
নেই |
আছে |
সালফার (S) |
নেই |
আছে |
জিঙ্ক (Zn) |
নেই |
আছে |
ভ্যানাডিয়াম (V) |
নেই |
আছে |
ক্রোমিয়াম (Cr) |
নেই |
আছে |
ম্যাঙ্গানিজ (Mn) |
নেই |
আছে |
কপার (Cu) |
নেই |
আছে |
সেলেনিয়াম (Se) |
নেই |
আছে |
মোলিবডেনাম(Mo) |
নেই |
আছে |
আয়োডিন(I) |
নেই |
আছে |
ফসফরাস(P) |
নেই |
আছে |
সিলিকন(Si) |
নেই |
আছে |
ফ্লোরাইড(F) |
নেই |
আছে |
[ ফিটকিরি কি ? ফিটকিরির বিভিন্ন ব্যবহার- পড়তে ক্লিক করুন ]
১। শরীরের তরলের ভারসাম্য রক্ষা করে-
এবার তাতে বেশ খানিকটা হিমালয়ান লবন ঢেলে দিন। ২৪ ঘণ্টা রেখে দিন।
প্রতি দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে খালিপেটে জার থেকে এক চামচ জল নিয়ে তা এক গ্লাস পরিষ্কার জলে মেশান। এই জল ‘SOLE’ (সোলে) নামে পরিচিত। এক উপকারিতা জানলে অবাক হতে হয়।
১) শরীরে জলের মাত্রা বজায় রাখে।
২) কোষে PH মাত্রা বজায় রাখে।
৩) রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
৪) শ্বাসকষ্টের সমস্যা দূর করে।
৫) সাইনাসের সমস্যা কমিয়ে দেয়।
৬) মাসল ক্র্যাম্প কমায়।
৭) শরীরে বিভিন্ন জয়েন্ট বা গাঁট-কে সুস্থ রাখে।
৮) হাঁড় ভালো রাখে।
৯) ঘুম ভালো হয়।
১০) হজমশক্তি বাড়ে।
১১) যৌন ক্ষমতা বাড়ায়।
১২) মুখের দুর্গন্ধ দূর করে,দাঁত ভালো রাখে।
১৩) বলিরেখা কমায়।
১৪) শরীর থেকে টক্সিন বার করে।
১৫) এনার্জিতে ভরপুর রাখে।
সাইনুসাইটিস, অ্যাজমা, ব্রংকাইটিস বা অ্যালার্জি থেকে নিরাময়ে সাহায্য করে হিমালয়ান সল্ট। শ্বসনতন্ত্রকে পরিষ্কার হতে ও ক্ষতিকর পদার্থ বাহির হয়ে যেতে সাহায্য করে। এই লবণের অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান অতিরিক্ত মিউকাসকে নরম ও আলগা হতে সাহায্য করে এবং মিউকোসিলিয়ারি পরিবহণের গতি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এই লবণের উপাদানগুলো ফুসফুসের গভীরে প্রবেশ করে ক্ষতিগ্রস্থ টিস্যুকে নিরাময়ে সাহায্য করে। গরম পানিতে পিংক সল্ট দিয়ে এর ভাপ নিন।
ত্বকে এগজিমা বা চুলকানির সমস্যা থাকলে সি সল্ট বাথ নিতে পারেন। এই লবণ ত্বকের ছিদ্রগুলো খুলে দেয়, রক্ত সঞ্চালন ভাল করে এবং ত্বকের টিস্যুগুলো হাইড্রেট করতে সাহায্য করে।
৮। হৃদপিণ্ড:
হিমালয়া লবন রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। ফলে রক্তচাপ কমে এবং ভাল থাকে হার্ট।এতে স্ট্রোক এবং হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা কমে।
৯। অবসাদ:
এই লবণ দেহে সেরোটোনিন এবং মেলাটোনিন নামের দু’টি হরমোন ক্ষরণ করে। যা অবসাদ ও দুঃশ্চিন্তা কাটাতে সাহায্য করে।
১০। পেশী সুস্থ রাখে:
সুস্থ থাকতে পেশীর প্রয়োজন পটাশিয়াম। যা এই লবণে থাকে। ফলে পেশী সুস্থ থাকার পাশাপাশি মাসল পেইন, পেশি টান বা খিঁচ ধরাও কমায় এই লবণ।এই লবণ মিশ্রিত কুসুম গরম পানিতে কাপড় ভিজিয়ে ব্যাথার স্থানে সেঁক দিন,ব্যথা কমে যাবে।